দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় জোরপূর্বক জমি দখল করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ ও জমি উদ্ধারের দাবিতে খানসামা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন  এক অসহায় ও বিধবা মহিলা।
৪ মে (শনিবার) দুপুরে খানসামা প্রেসক্লাবে উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের মৃত অহিদুল ইসলামের স্ত্রী  খাতেমা বেগম এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে  তিনি বলেন, আমি একজন অসহায় বিধবা মহিলা হইতেছি।
আমি আপনাদের খানসামা প্রেসক্লাবে স্ব-শরীরে উপস্থিত হইয়া  জনৈক ফজলুল হক ( মাষ্টার ) পিতা: মৃত- হাসান আলী আমার প্রতিবেশী হইতেছেন। তিনি একজন ভুমি দস্যু , পরধনলোভী, দুষ্কৃতি প্রকৃতির লোক হইতেছেন। তিনি আমার স্বামীর দীর্ঘ শতবর্ষ পূর্বের ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে লোলুপ দৃষ্টি দেন।
যাহা আইনত অপরাধ ও বে-আইনী । আমার স্বামী ও আমার স্বামীর পূর্ব পুরুষগন ঘরবাড়ী নির্মাণ করিয়া বসতবাড়ীতে ভোগ দখলে আছি। তিনি উক্ত আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তি জোরপূর্বেক দখলের নিমিত্তে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কু-চক্র ও নানান অপ-তৎপরতা করিতেছেন।
উক্ত কু-চক্র ও অপ-তৎপরতায় ব্যর্থ হইলে তিনি ভূয়া, জাল দলিল তৈরি করে আমার স্বামী ও আমার নামে বিজ্ঞ খানসামা সহকারী জজ আদালতে ৩৭/২০১৯ অন্য মোকদ্দমাসহ অন্যান্য আনয়ন করেন।
তৎসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা চলমান রহিয়াছে। ভুমি দস্যু , পরধনলোভী, দুষ্কৃতি ফজলুল হক মাষ্টার আদালতের বিচারকার্য অস্বীকার ও অমান্য করিয়া এবং আজ আমার বসত:বাড়ীতে বেআইনীভাবে প্রবেশ করিয়া আমার দখলকৃত সম্পত্তিতে বে-আইনীভাবে বাড়ীঘর নির্মাণ করিবে ও আমার রোপনকৃত গাছপালা কর্তন ও উক্ত সম্পত্তি হইতে বেদখল করিবেন মর্মে আমাকে হুমর্কি প্রদান করিয়াছেন।
যাহার কারণে আমি ভয়ভীত হইয়া পড়ি। প্রভাবশালী ফজলুল হক মাষ্টার আমাকে একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের হুমর্কি দিয়া আসিতেছেন। আমি আমার ৪ কন্যা ও ১শিশু সন্তানকে লইয়া আতংকের মধ্যে জীবন যাপন করিতেছি। তিনি আরোও বলেন,
প্রভাবশালী ফজলুল হক মাস্টারের ছেলে সাঈদ হাসান, ডন আমাকে ধর্ষণ ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি প্রদান করে আসছেন।
এমতাবস্থায় তিনি হয়রানি ও মিথ্যা মোকদ্দমাসমূহ হইতে পরিত্রান ও আমার সম্পত্তি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।